সিরাজগঞ্জ মহকুমা প্রশাসন
মহকুমা সদরঃ
মিঃ এ বারী মহকুমার প্রথম প্রশাসক হিসেবে তাঁর অফিস সিরাজগঞ্জ শহরে স্থাপন করেন ফলে এটা মহকুমা সদর রূপে পরিগণিত হয়। সিরাজগঞ্জ শহরকে ১৮৬৯ সালে মিউনিসিপ্যাল আইনের অধীনে মিউনিসিপ্যালিটির আওতাধীন করা হয়। বহু বৎসর শহরটি মিউনিসিপ্যালিটি নামক স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের অধীন ছিল। বর্তমানে তা ‘পৌরসভা’ নামে অভিহিত। পূর্বে মিউনিসিপ্যালিটির এলাকা খাস শহরে সীমাবদ্ধ ছিল, এখন তা বিস্তৃত করে উপশহর বা পাশের এলাকাকেও পৌরসভার অমত্মর্ভূক্ত করা হয়েছে।
মহুকুমা প্রশাসকগণের মধ্যে মিঃ হিন্ডলে সাহেব একজন অমায়িক, জনপ্রিয় ও দয়ালু ব্যক্তি ছিলেন। মিঃ সমর সেন (এস, সেন) অত্যমত্ম মেধাবী, চতুর ও সুদর্শন পুরুষ ছিলেন। পরবর্তী জীবনে তিনি জাতিসংঘে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিযুক্ত হয়ে আসেন। জনাব এইচ, এস, এম ইসহাক একজন শিক্ষাব্রতী, জনপ্রিয় ও ধর্মপরায়ন ব্যক্তি ছিলেন। নারী শিক্ষার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল অসীম। তিনি সিরাজগঞ্জের বিখ্যাত সালেহা ইসহাক বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তাঁর ইসলামী ধ্যান ধারণা ও সংস্কৃতির নিদর্শন সম্বলিত স্থপত্য শিল্পের রূপায়ন সালেহা ইসহাক বালিকা বিদ্যালয়ের অট্রালিকাটি উজ্জ্বল হয়ে আছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন
১৮৫৫ সালে পাবনা জেলার অধীনে সিরাজগঞ্জ মহকুমা সৃষ্টি হয় এবং ১৯৮৪ সালে এ মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। উপজেলা ৯টি, থানার সংখ্যা ১২টি, পৌরসভা৬টি, ইউনিয়ন ৮২টি, মৌজা ১৪৭২টি এবং গ্রামের সংখ্যা ২১৮০ টি। উপজেলাসমূহ: সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী, কামারখন্দ, কাজিপুর, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, তাড়াশ এবং উল্লাপাড়া। পৌরসভাসমূহ: সিরাজগঞ্জ সদর, শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজিপুর , রায়গঞ্জ এবং উল্লাপাড়া।
জেলা পর্যায়ে ও জাতীয় পর্যায়ের সরকারী কাজ ও দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বিভিন্ন অফিসের সাথে সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। জেলা প্রশাসক এসব কার্যাবলীর সমন্বয়কারী^ হিসেবে কাজ করে। জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখার দায় দায়িত্বও তাঁর উপর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস