উল্লেখযোগ্য অর্জন
সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজঃ
জেলা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে সিরাজগঞ্জ জেলায় ২০০৩ সালে সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ইংলিশ মিডিয়াম) স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে থাকে।
পাবলিক হিয়ারিং ডে পরিচালনাঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের জনগনের অভাব অভিযোগ শ্রবণ ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত প্রতি বুধবার বিকেল ৩.৩০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দীন সম্মেলন কক্ষে পাবলিক হিয়ারিং গ্রহণ করা হয়। উক্ত হিয়ারিং এ জেলা প্রশাসক উপস্থিত থেকে সাধারণ জনগণের সমস্যাবলী শুনে থাকেন এবং সে অনুয়ায়ী সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করে থাকেন। এ কার্যক্রম প্রথম সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রচলন করা হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন বিভাগের কাজের দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস, জনগণের অযথা হয়রানি বন্ধ ও কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিরাজগঞ্জ কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠাঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা প্রভৃতি ক্ষেত্রে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে জেলার গরীব মেধাবি ছাত্র/ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান , ট্যালেন্ট সার্চ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ম্যাথ অলিম্পিয়াড সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। জেলার সার্বিক উন্নয়নে কল্যাণ ট্রাস্ট ভূমিকা পালন করছে।
জেলা প্রশাসন পার্ক স্থাপনঃ
সিরাজগঞ্জ জেলায় বিনোদন পার্কের অপ্রতুলতা দূরীকরণের লক্ষ্যে ২০০০ সালে জেলা প্রশাসন পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। জনগণের নাগরিক ব্যস্ততা থেকে মানসিক প্রশান্তি লাভের জন্য এ পার্কে আবালবৃদ্ধবনিতা আগমন করে থাকে। বর্তমানে পার্কটির উন্নয়নের কাজ চলছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তথ্যের ডাটাবেইজ স্থাপনঃ
কালেক্টরেটের কাজের গতিশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথ্যের ডাটাবেইজ স্থাপন করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে কোন তথ্য উক্ত ডাটাবেইজ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব। এর ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি, পেনশন, এলপিআর ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।
২০০৭ সালের ভয়াবহ বন্যা সফলভাবে মোকাবেলাঃ
সিরাজগঞ্জ জেলায় ২০০৭ সালে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। উক্ত বন্যা পরিস্থিতি জেলা প্রশাসন সাফল্যের সহিত মোকাবেলা করে। সরকারী সাহায্য, উদ্ধার তৎপরতা, অবকাঠামো সংস্কার ও পুনর্বাসনের কাজ সফলতার সহিত সম্পন্ন করা হয় যা দেশব্যাপী প্রসংশিত হয়েছে।
কালেক্টরেটের শাখাসমূহসহ উপজেলা প্রশাসনে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে মাধ্যমে গতিশীলতা অর্জনঃ
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ তার অধীনস্থ অফিসগুলোতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতঃ জনগণকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাংখিত সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি শাখায় কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে কাজকে আরো গতিশীল করা হয়েছে। ওয়েবসাইট উম্মোচন, ইন্টারনেট ব্যবহার এর মাধ্যমে তথ্য দ্রুত আদান প্রদান করা হচ্ছে।
উপজেলা ভূমি অফিসগুলোতে কাজের দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস/গতিশীলতা আনয়নঃ
জমির দলিলের জাবেদা নকল, জমির খারিজ ইত্যাদি উত্তোলনের আবেদনপত্র তহশীল অফিসের পরিবর্তে সরাসরি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর গ্রহণ করা হচ্ছে। এর ফলে কাজের দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া অনাকাংখিত ব্যক্তিদের দৌরাত্বও দূর হয়েছে।
সালেহা ইসহাক সরকারী বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাঃ
১৯৭৩ সালে এই বিদ্যালয়ে তদানীমত্মন মহকুমা প্রশাসক জনাব সৈয়দ হাফেজ মুহম্মদ ইসহাক আই, সি, এস সাহেবের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও স্থানীয় জনগণ ও নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিগণের সমবেত প্রচেষ্টায় এই বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এর ইমারত, গঠন ও সৌকর্য্য অত্যন্ত মনোরম ও সুদৃশ্য। এটা শহরের অন্যতম আকর্ষণ। এই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা মিসেস আমেনা খাতুন এবং মরহুম মাওলানা আবুল মুবিন নাছিম উদ্দিন সাহিত্য রত্ন (সদস্য বাংলা একাডেমী, ঢাকা), প্রখ্যাত সাহিত্যিক ছিলেন। ১৯৬৯ সাল হতে এই বিদ্যালয়কে সরকারী বিদ্যালয়ে পরিণত করা হয়েছে। দক্ষিণে খোলা মাঠ, পূর্বে আধুনিক সদর হাসপাতাল, পশ্চিমে শিশুপার্কের নির্ধারিত স্থান ও সুন্দর পরিবেশ শিক্ষার জন্য অত্যন্ত অনুকূল।
রেকর্ড রুমের কাজের দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস করণ:
জনবল বৃদ্ধি, নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবেদন গ্রহণ ও নির্দিষ্ট দিনে কাংখিত নকল সরবরাহের মাধ্যমে রেকর্ড রুমের কাজের দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস