১৮৮২ সালে সে সময়কার সিরাজগঞ্জের সাব ডিভিশনাল অফিসার মি. বিটসনবেল বড়াল নদীর উপর একটা ব্রীজ তৈরী করার কথা ভাবতে শুরু করেন। তৎকালীন সময়ের বড় বড় ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটা কমিটি গড়লেন তিনি। ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ড থেকে অনুদান আদায় করে নিলেন ১৫০০ টাকার। আর ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলেন যার যার সাধ্যমতো। সিদ্ধান্ত হয়ে গেল খুব শিগগিরই একটা ব্রীজ তৈরীর কাজ শুরু হবে বড়াল নদীর উপর।তখনকার সময়ে বাংলা আর আসামের যে গভর্নর তাঁর নাম চার্লস ইলিয়ট। তিনিই এক শুভক্ষণে ১৮৮২ সালের ৬ আগষ্ট ফাউন্ডেশন কাজের শুভ উদ্ভোধন করলেন সেই ব্রীজের, বড়াল নদীর উপর। তার নামেই এই ব্রীজের নামকরণ করা হল ‘ইলিয়ট ব্রীজ’।
১৮৮২ সালে নির্মিত এই ইলিয়ট ব্রীজ আজও তার প্রথম দিনের সমৃদ্ধি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সিরাজগঞ্জ শহরে। ১৮০ ফুট লম্বা আর ১৬ ফুট চওড়া এই ইলিয়ট ব্রীজের প্রধানতম বৈশিষ্ট হলো এতে কোন পিলার নেই! ষ্টুয়ার্ট হার্টল্যান্ড নামের ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত ইঞ্জিনিয়ারের তৈরী এই পিলারবিহীন একমাত্র আর্চ দিয়ে তৈরী ব্রীজটি তৈরীতে সেসময় পয়তাল্লিশ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল।
আজও এই ইলিয়ট ব্রীজ সিরাজগঞ্জ শহরের একটি আকর্ষনীয় এবং দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য। হাজারো মানুষ আজও ছুটে যায় আসে এই ব্রীজটির সৌন্দর্য দেখার জন্য।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস